০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিবালয় নির্বাচন অফিসে ঘুরে আলো বেগম ৩বছরেও ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে পারেনি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৪:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩২১ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক  : নতুন ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে গত ৩ বছরেও পারেনি উপজেলার নয়াবাড়ি কোলা গ্রামের আলো বেগম। অফিস সংশ্লিষ্ট দালালের খপ্পরে পরে মোটা অংকের টাকা দিয়েও দিনের পর দিন শিবালয় নির্বাচন অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। শিবালয় নির্বাচন অফিস থেকে অবশেষে ঢাকা আগারগাঁও দেখিয়ে গত রবিবার ১০শে আগষ্ট গ্রামের সহজ-সরল আলো বেগমকে অফিস থেকে বের করে দেয় কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী।

ভূক্তভোগী অগ্নিবিন্দুকে জানান, উপজেলার নয়াবাড়ি কোলা গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে অফিসের দালাল জিলাল (৪৫) ও অফিসের মোঃ ইসরাফিল হোসেন, কাসেম এবং অফিস সহকারী ভোটার হওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। টাকার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও অফিসে জমা দেয়। পরবর্তীতে গত ৫ই মার্চ ২০২৩ইং তারিখে অফিসে ফিংগার ( আংগুলের ছাপ) নেয় এবং একটি কাগজের নিচের অংশ দেয়। এরপর থেকে দিনের পর দিন নির্বাচন অফিসের চিহ্নিত দালাল  জিলালের কাছে ও অফিসে ঘুরতে ঘুরতে জুতা ক্ষয় হচ্ছে। কাজ না করলে টাকা ফেরত চাইলে নানান টালবাহানা শুরু করেন। সরকার পতনের পর ভয়ে সেই টাকা ফেরত দেয়। কিছু দিন পর আবার কাজ করে টাকা নেওয়ার শর্তে  জিলাল আবারও নতুন করে কাগজপত্র নেয়। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং শিবালয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবারও ফিংগার ( আংগুলের ছাপ) দেওয়া হয়। আমরা দালাল  জিলালের কাছে ও নির্বাচন  অফিসে ঘুরতে ঘুরতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমরা অফিসে গেলে, অফিসের লোকজন হাঁসা-হাঁসি ও ফিসফিস করে কথা বলে। আরো বলে জিলাল ১০ হাজার টাকা আপনাদের ফেরত দিছে নাকি। সেই টাকা আবার অফিসের লোক নেওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করে। নানান অজুহাতে আমাদের দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে।  এক পর্যায়ে অফিসের লোক জন খারাপ ভাষায় কথা বলে। তারা বলে, আপনারা খারাপ মহিলা, এখানে হবে না, ঢাকায় আগারগাঁও যান। সেখানে গিয়ে করেন। খারাপ কথা-র্বাতা বলে অফিস থেকে বের করে দেয়। ভূক্তভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম কে জানালে, তিনি অফিস স্টাফদের সাথে কথা বলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলেন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, শিবালয় নির্বাচন অফিসের কম্পিটার অপারেটর মোঃ ইসরাফিল হোসেন, কাসেম ও অফিস সহকারীর যোগসাজসে চিহ্নিত কয়েক জন দালালের মাধ্যমে গেলে দ্রুত কাজ করে দেয়। সাধারণ লোকজন যদি সরাসরি কোন সমস্যা নিয়ে যায়, তাহলে আইনি জটিলতা দেখিেেয় দিনের পর দিন ভূক্তভোগীদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। দালালদের মাধ্যমে ও গোপনে ঘুস লেনদেন করলে সেবা পাওয়া যায়। আর যদি অর্থনৈতিক সুবিধা না পায় সেবা গ্রহিতাদের দিনের পর দিন আইনি জটিলতা দেখিয়ে ঘুরাতে থাকে। নতুন ভোটার হতে অবশেষে ঢাকায় আগারগাঁও দেখান শিবালয়  নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, তা হলে শিবালয় নির্বাচন অফিসের কাজ কি ? আগারগাঁও পাঠানো ?

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম অগ্নিবিন্দ ‘কে জানান, আমি অল্প কয়েক দিন ধরে জয়েন্ট করেছি। আমি আসার পর জমে থাকা কাজগুলো দ্রুত শেষ করছি। এখানে যদি কেউ হয়রানী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। নতুন ভোটার হতে আগারগাঁও যেতে হয় এমন প্রশ্নে, তিনি বলেন, ছোট ছোট সমস্যা গুলো আমরা সমাধান করে দিই। বড় ধরনের কিছু হলে জেলা অফিস অথবা ঢাকায় গিয়ে করতে হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পরকীয়ায় মা ও মেয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

শিবালয় নির্বাচন অফিসে ঘুরে আলো বেগম ৩বছরেও ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে পারেনি

Update Time : ০৪:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক  : নতুন ভোটার তালিকায় নাম উঠাতে গত ৩ বছরেও পারেনি উপজেলার নয়াবাড়ি কোলা গ্রামের আলো বেগম। অফিস সংশ্লিষ্ট দালালের খপ্পরে পরে মোটা অংকের টাকা দিয়েও দিনের পর দিন শিবালয় নির্বাচন অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। শিবালয় নির্বাচন অফিস থেকে অবশেষে ঢাকা আগারগাঁও দেখিয়ে গত রবিবার ১০শে আগষ্ট গ্রামের সহজ-সরল আলো বেগমকে অফিস থেকে বের করে দেয় কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী।

ভূক্তভোগী অগ্নিবিন্দুকে জানান, উপজেলার নয়াবাড়ি কোলা গ্রামের হাসেম মোল্লার ছেলে অফিসের দালাল জিলাল (৪৫) ও অফিসের মোঃ ইসরাফিল হোসেন, কাসেম এবং অফিস সহকারী ভোটার হওয়ার জন্য আমাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। টাকার সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও অফিসে জমা দেয়। পরবর্তীতে গত ৫ই মার্চ ২০২৩ইং তারিখে অফিসে ফিংগার ( আংগুলের ছাপ) নেয় এবং একটি কাগজের নিচের অংশ দেয়। এরপর থেকে দিনের পর দিন নির্বাচন অফিসের চিহ্নিত দালাল  জিলালের কাছে ও অফিসে ঘুরতে ঘুরতে জুতা ক্ষয় হচ্ছে। কাজ না করলে টাকা ফেরত চাইলে নানান টালবাহানা শুরু করেন। সরকার পতনের পর ভয়ে সেই টাকা ফেরত দেয়। কিছু দিন পর আবার কাজ করে টাকা নেওয়ার শর্তে  জিলাল আবারও নতুন করে কাগজপত্র নেয়। গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং শিবালয় নির্বাচন অফিসে গিয়ে আবারও ফিংগার ( আংগুলের ছাপ) দেওয়া হয়। আমরা দালাল  জিলালের কাছে ও নির্বাচন  অফিসে ঘুরতে ঘুরতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমরা অফিসে গেলে, অফিসের লোকজন হাঁসা-হাঁসি ও ফিসফিস করে কথা বলে। আরো বলে জিলাল ১০ হাজার টাকা আপনাদের ফেরত দিছে নাকি। সেই টাকা আবার অফিসের লোক নেওয়ার জন্য পায়তারা শুরু করে। নানান অজুহাতে আমাদের দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকে।  এক পর্যায়ে অফিসের লোক জন খারাপ ভাষায় কথা বলে। তারা বলে, আপনারা খারাপ মহিলা, এখানে হবে না, ঢাকায় আগারগাঁও যান। সেখানে গিয়ে করেন। খারাপ কথা-র্বাতা বলে অফিস থেকে বের করে দেয়। ভূক্তভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম কে জানালে, তিনি অফিস স্টাফদের সাথে কথা বলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলেন।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, শিবালয় নির্বাচন অফিসের কম্পিটার অপারেটর মোঃ ইসরাফিল হোসেন, কাসেম ও অফিস সহকারীর যোগসাজসে চিহ্নিত কয়েক জন দালালের মাধ্যমে গেলে দ্রুত কাজ করে দেয়। সাধারণ লোকজন যদি সরাসরি কোন সমস্যা নিয়ে যায়, তাহলে আইনি জটিলতা দেখিেেয় দিনের পর দিন ভূক্তভোগীদের পোহাতে হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। দালালদের মাধ্যমে ও গোপনে ঘুস লেনদেন করলে সেবা পাওয়া যায়। আর যদি অর্থনৈতিক সুবিধা না পায় সেবা গ্রহিতাদের দিনের পর দিন আইনি জটিলতা দেখিয়ে ঘুরাতে থাকে। নতুন ভোটার হতে অবশেষে ঢাকায় আগারগাঁও দেখান শিবালয়  নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। এলাকার সচেতন মহলের প্রশ্ন, তা হলে শিবালয় নির্বাচন অফিসের কাজ কি ? আগারগাঁও পাঠানো ?

এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল ইসলাম অগ্নিবিন্দ ‘কে জানান, আমি অল্প কয়েক দিন ধরে জয়েন্ট করেছি। আমি আসার পর জমে থাকা কাজগুলো দ্রুত শেষ করছি। এখানে যদি কেউ হয়রানী হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। নতুন ভোটার হতে আগারগাঁও যেতে হয় এমন প্রশ্নে, তিনি বলেন, ছোট ছোট সমস্যা গুলো আমরা সমাধান করে দিই। বড় ধরনের কিছু হলে জেলা অফিস অথবা ঢাকায় গিয়ে করতে হয়।