০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাটুরিয়া ঘাটে নদী ভাঙ্গনরোধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ,৩ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩০৩ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় শিবালয় উপজেলার আরুয় ইউনিয়নে ভয়াবহ নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও প্রতিকারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ কারীরা ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের চৌরাস্তায় বসে পড়লে যানবাহন চলাচচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত শনিবার ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় আরুয়া ইউনিয়নের কয়েক’শ নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। নদী ভাঙ্গন ঠেকাও পাটুরিয়া লঞ্চঘাট,ফেরীঘাট ও এলাকাবাসীকে বাঁচাও এমন দাবীতে ৫নং ফেরী ঘাটে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ নিয়ে পাটুরিয়াঘাট হয়ে মহাসড়কের চৌরাস্তায় সমাবেশ করেন। রাস্তায় লোকজন বসে পড়লে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের যানবাহন চলাচলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩ঘন্টা বন্ধ থাকায় ছোট-বড় কয়েক’শ গাড়ী আটকা পড়ে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা ও যমুনা নদীর ভাঙনে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নসহ পাটুরিয়া, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও আশপাশের এলাকা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে শত শত পরিবার ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতিপূর্বে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থান এবং আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় জনগণ চরম দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে। “আমাদের জীবন-জীবিকা, বসতভিটা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সবই এখন হুমকির মুখে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তারা নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পাটুরিয়া ঘাটসহ  নয়াকাদি ও দাসকাদি পর্যন্ত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার  আশঙ্কা করছেন তারা।

মানববন্ধনে উত্তম দাস বলেন, গত একদিনে আমার বাড়ীর ৪টি মুগীর খামারসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেক কিছু সরাতে পারিনি। জিনিসপত্রও নদীতে চলেে গেছে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৭-৮টি বাড়ী কয়েক ঘন্টার মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেইনি। গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলে দ্রæত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়, পাটুরিয়াঘাট এলাকায় গত দু’সাপ্তাহ ধরে ভাঙ্গন শুরু হলেও প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ দ্রæত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মানববন্ধনে এলাকার সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যাসায়ী মোবারক হোসেন খান পান্নু বলেন, পাটুরিয়া ঘাট নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তবে এর বেশ কিছু কারনও রয়েছে, যা আমি বললাম না। এই দেশে যারা নেতৃত্বদেয় তারা শুধু স্বার্থের কথা ভাবে,তারা কখনো মানুষের কথা ভাবেনা। আগামী দ’ুই দিনের মধ্যে যদি নদী ভাঙ্গনরোধে সরকার কোন ব্যবস্থাগ্রহন না করে তাহলে বৃহত্তম মানববন্ধন করবো এবং দক্ষিণ বঙ্গের সাথে রাজধারী ঢাকার যোগাযোগ আমরা চিরতরে বন্ধ ঘোষনা করবো। বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের দাবী আগামী দু’দিনের মধ্যে নদী ভাঙ্গনরোধে বস্তা ফালানোর ব্যবস্থা নিবেন। আমরা প্রয়োজনে এলাকাবাসী শ্রমদিয়ে সহযোগীতা করবো।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পরকীয়ায় মা ও মেয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

পাটুরিয়া ঘাটে নদী ভাঙ্গনরোধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ ,৩ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ

Update Time : ০৯:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় শিবালয় উপজেলার আরুয় ইউনিয়নে ভয়াবহ নদী ভাঙন প্রতিরোধ ও প্রতিকারের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ কারীরা ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের চৌরাস্তায় বসে পড়লে যানবাহন চলাচচল বন্ধ হয়ে যায়।

গত শনিবার ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ১১টায় আরুয়া ইউনিয়নের কয়েক’শ নারী-পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেন। নদী ভাঙ্গন ঠেকাও পাটুরিয়া লঞ্চঘাট,ফেরীঘাট ও এলাকাবাসীকে বাঁচাও এমন দাবীতে ৫নং ফেরী ঘাটে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শত শত নারী-পুরুষ বিক্ষোভ নিয়ে পাটুরিয়াঘাট হয়ে মহাসড়কের চৌরাস্তায় সমাবেশ করেন। রাস্তায় লোকজন বসে পড়লে ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়কের যানবাহন চলাচলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৩ঘন্টা বন্ধ থাকায় ছোট-বড় কয়েক’শ গাড়ী আটকা পড়ে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা ও যমুনা নদীর ভাঙনে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নসহ পাটুরিয়া, লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট ও আশপাশের এলাকা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে ইতোমধ্যে শত শত পরিবার ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। ইতিপূর্বে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা, কবরস্থান এবং আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় জনগণ চরম দুর্ভোগ ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনযাপন করছে। “আমাদের জীবন-জীবিকা, বসতভিটা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সবই এখন হুমকির মুখে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তারা নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী বাঁধ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে বড় কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পাটুরিয়া ঘাটসহ  নয়াকাদি ও দাসকাদি পর্যন্ত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার  আশঙ্কা করছেন তারা।

মানববন্ধনে উত্তম দাস বলেন, গত একদিনে আমার বাড়ীর ৪টি মুগীর খামারসহ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। অনেক কিছু সরাতে পারিনি। জিনিসপত্রও নদীতে চলেে গেছে। পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ৭-৮টি বাড়ী কয়েক ঘন্টার মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেইনি। গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হলে দ্রæত কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়, পাটুরিয়াঘাট এলাকায় গত দু’সাপ্তাহ ধরে ভাঙ্গন শুরু হলেও প্রশাসন ও ঘাট কর্তৃপক্ষ দ্রæত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

মানববন্ধনে এলাকার সমাজসেবক ও বিশিষ্ট ব্যাসায়ী মোবারক হোসেন খান পান্নু বলেন, পাটুরিয়া ঘাট নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তবে এর বেশ কিছু কারনও রয়েছে, যা আমি বললাম না। এই দেশে যারা নেতৃত্বদেয় তারা শুধু স্বার্থের কথা ভাবে,তারা কখনো মানুষের কথা ভাবেনা। আগামী দ’ুই দিনের মধ্যে যদি নদী ভাঙ্গনরোধে সরকার কোন ব্যবস্থাগ্রহন না করে তাহলে বৃহত্তম মানববন্ধন করবো এবং দক্ষিণ বঙ্গের সাথে রাজধারী ঢাকার যোগাযোগ আমরা চিরতরে বন্ধ ঘোষনা করবো। বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের দাবী আগামী দু’দিনের মধ্যে নদী ভাঙ্গনরোধে বস্তা ফালানোর ব্যবস্থা নিবেন। আমরা প্রয়োজনে এলাকাবাসী শ্রমদিয়ে সহযোগীতা করবো।