০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে হয়রানী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৩৪৯ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সংগঠনের নেতারা ইজারা মালিকের কাছে দাবীকৃত মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে, নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, মোঃ নাছির উদ্দিন, শাহজাহানপুর,ঢাকা। ২০২৫-২০২৬অর্থ বছরের ০১-০৭-২০২৫ খ্রিঃ তারিখ হতে৩০-০৬-২০২৬ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত ৩৬৫ দিনের জন্য তার প্রতিষ্ঠান গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ ইজারা পেয়েছে। ইজারা মূল্যসহ আর্নেস্টমানি ও আয়কর দিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা। বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন “গোয়ালন্দ-পাকশি নৌ-চ্যানেল হয়ে চলাচলকারী নৌ-যান হতে চ্যানেল র্চাজ আদায় কেন্দ্র” ঘাট পয়েন্ট (সীমানা: গোয়ালন্দ হতে পাকশি পর্যন্ত পদ্মা নদীর নৌ-চ্যানেল সংলগ্ন এলাকা)। উক্ত নৌ-চ্যানেলে শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সংগঠনের নেতা বাহার উদ্দিন মাষ্টার গং ইজারা মালিকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা মাসহারা দাবী করে আসছে, এমন অভিযোগ ইজারা মালিক পক্ষের।

ইজারা মালিক পক্ষের পরিচালনার দায়িত্বে মহিবুল আলম সুমন অগ্নিবিন্দু’কে জানান, আমরা বৈধ ভাবে ইজারা পেয়েছি। সীমানা: গোয়ালন্দ হতে পাকশি পর্যন্ত পদ্মা নদীর নৌ-চ্যানেল সংলগ্ন এলাকা। এই পয়েন্টে আমাদের  লোকজন বৈধভাবে ইজারার নির্ধারিত র্চাজ আদায় করছে। নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড থেকে সরকারী নির্ধারিত প্রতি টন ৮ টাকা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আমরা এর চেয়েও কম নিয়ে থাকি। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নামে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে উক্ত সংগঠনের  সহ-সভাপতি বাহার উদ্দিন মাস্টার। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মাসে চান ২০হাজার টাকা এবং উক্ত সংগঠনের সভাপতি কে তার মাধ্যমে দিতে হবে ৫০হাজার টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে চাঁদা দাবী করে আসছে। আমরা টাকা না দেওয়ায় উক্ত সংগঠনের বাহার উদ্দিন মাষ্টার, শাহআলম ও আসাদ গং আমার লোকজনকে মারধরসহ নানান হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি প্রর্দশন করে আসছে। দাবীকৃত মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে, নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে এবং ইজারার টাকা না দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অপ-প্রচার ও প্রশাসনিক দপ্তরে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজারার সকল বৈধ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে দেওয়া আছে। তার পরও বিভিন্ন অযুহাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বাহার উদ্দিন, শাহআলম ও আসাদ গং চাঁদাদাবী ও নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের ব্যবসার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাহার উদ্দিন মাস্টারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

পরকীয়ায় মা ও মেয়ে হত্যার রহস্য উন্মোচন করলো পুলিশ

দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে হয়রানী

Update Time : ০৮:২৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সংগঠনের নেতারা ইজারা মালিকের কাছে দাবীকৃত মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে, নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, মোঃ নাছির উদ্দিন, শাহজাহানপুর,ঢাকা। ২০২৫-২০২৬অর্থ বছরের ০১-০৭-২০২৫ খ্রিঃ তারিখ হতে৩০-০৬-২০২৬ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত ৩৬৫ দিনের জন্য তার প্রতিষ্ঠান গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাঃ লিঃ ইজারা পেয়েছে। ইজারা মূল্যসহ আর্নেস্টমানি ও আয়কর দিয়ে প্রায় ৯ কোটি টাকা। বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন “গোয়ালন্দ-পাকশি নৌ-চ্যানেল হয়ে চলাচলকারী নৌ-যান হতে চ্যানেল র্চাজ আদায় কেন্দ্র” ঘাট পয়েন্ট (সীমানা: গোয়ালন্দ হতে পাকশি পর্যন্ত পদ্মা নদীর নৌ-চ্যানেল সংলগ্ন এলাকা)। উক্ত নৌ-চ্যানেলে শ্রমিক ফেডারেশনের নামে সংগঠনের নেতা বাহার উদ্দিন মাষ্টার গং ইজারা মালিকের কাছে মোটা অংকের চাঁদা মাসহারা দাবী করে আসছে, এমন অভিযোগ ইজারা মালিক পক্ষের।

ইজারা মালিক পক্ষের পরিচালনার দায়িত্বে মহিবুল আলম সুমন অগ্নিবিন্দু’কে জানান, আমরা বৈধ ভাবে ইজারা পেয়েছি। সীমানা: গোয়ালন্দ হতে পাকশি পর্যন্ত পদ্মা নদীর নৌ-চ্যানেল সংলগ্ন এলাকা। এই পয়েন্টে আমাদের  লোকজন বৈধভাবে ইজারার নির্ধারিত র্চাজ আদায় করছে। নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড থেকে সরকারী নির্ধারিত প্রতি টন ৮ টাকা নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আমরা এর চেয়েও কম নিয়ে থাকি। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নামে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে উক্ত সংগঠনের  সহ-সভাপতি বাহার উদ্দিন মাস্টার। তিনি ব্যক্তিগত ভাবে মাসে চান ২০হাজার টাকা এবং উক্ত সংগঠনের সভাপতি কে তার মাধ্যমে দিতে হবে ৫০হাজার টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে চাঁদা দাবী করে আসছে। আমরা টাকা না দেওয়ায় উক্ত সংগঠনের বাহার উদ্দিন মাষ্টার, শাহআলম ও আসাদ গং আমার লোকজনকে মারধরসহ নানান হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি প্রর্দশন করে আসছে। দাবীকৃত মোটা অংকের চাঁদা না পেয়ে, নৌ-পথে পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড আটকিয়ে প্রতিনিয়তই হয়রানি করছে এবং ইজারার টাকা না দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন অপ-প্রচার ও প্রশাসনিক দপ্তরে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে হয়রানীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজারার সকল বৈধ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে দেওয়া আছে। তার পরও বিভিন্ন অযুহাতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বাহার উদ্দিন, শাহআলম ও আসাদ গং চাঁদাদাবী ও নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে আমাদের ব্যবসার ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাহার উদ্দিন মাস্টারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।